জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে বিকল্প, নির্ধারিত স্থানে কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “যদি যৌক্তিক দাবি থাকে, প্রপার জায়গায় করলে সবচেয়ে ভালো। সাধারণ মানুষের যেন দুর্ভোগ না হয়, এজন্য সবাই সচেতন হতে পারেন। এ ব্যাপারে আপনারা (গণমাধ্যম) আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারেন।”
শনিবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে আলোচনা শুরু হলে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা সরকারপ্রধানের বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নেন। পরদিন শুক্রবার বিকেল থেকে শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন, যার ফলে জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
এক সাংবাদিক জানতে চান, অবরোধের ফলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে— সরকার কি জনস্বার্থে কোনো ব্যবস্থা নেবে?
উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “তারা কিন্তু প্রথম এক জায়গায় ছিল, পরে বলার পর তারা অন্য জায়গায় গেছে। এখন কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে তারা অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি যানবাহনের চলাচলের সুযোগ দিচ্ছে।”
সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করলেন— এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমার কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। তদন্ত কমিটি কাজ করছে এবং যারা দোষী, তাদের শাস্তি পেতেই হবে। ইতোমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, “ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তবে ইন্টারপোল আমার কথায় তো কাজ করবে না। তাদের নিজস্ব আইন ও নীতিমালার ভিত্তিতে তারা ব্যবস্থা নেয়।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিবৃতিগুলো চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করছে। তবে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য উভয়পক্ষের আরও সংবেদনশীল আচরণ প্রয়োজন।